গাজার গির্জায় প্রতিদিন ফোন করে খোঁজখবর নিতেন পোপ ফ্রান্সিস

গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ নিয়ে সদ্যপ্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস অনেকবারই কথা বলেছেন। তিনি গাজা উপত্যকায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনি খ্রিষ্টানদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন।
বিবিসির নিউজ আওয়ার অনুষ্ঠানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গাজার হলি ফ্যামিলি গির্জার যাজক ফাদার গ্যাব্রিয়েল রোমানেলি বলেন, দেড় বছরের বেশি সময় ধরে পোপ প্রতিদিনই তাঁদের ফোন দিতেন। তাঁরা নিরাপদ আছেন কি না, সে ব্যাপারে খোঁজখবর নিতেন। পোপ কয়েকটি আরবি বাক্যাংশও শিখেছিলেন।
রোমানেলি বলেন, সর্বশেষ গত শনিবার পোপের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। পোপই তাঁদের ফোন দিয়ে আশীর্বাদ করেছিলেন। পোপের জন্য প্রার্থনা করায় গির্জার সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি (পোপ)।
রোমানেল্লি বলেন, ‘এখানে বেঁচে থাকা সহজ নয়। তাই এই অঞ্চলের একজন যাজক হিসেবে, পোপের এমন ঘনিষ্ঠতা অনুভব করতে পারা… আমাদের জন্য এটি ছিল প্রভুর দয়া ও উৎসাহের এক স্পষ্ট ও শক্তিশালী বার্তা-তাঁর গির্জায় তাঁর সেবা করার আহ্বান।’
গতকাল সোমবার ৮৮ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস ভ্যাটিকানে নিজ বাসভবন কাসা সান্তা মার্তায় মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন।
ইউএস টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পোপ ফ্রান্সিস মারা যাওয়ার আগে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার বারান্দায় তাঁর শেষ বার্তায়ও গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। ইস্টার সানডের ওই বার্তা উচ্চ স্বরে পড়েছিলেন তাঁর সহযোগী।
ইস্টারের বার্তায় পোপ বলেন, গাজার পরিস্থিতি নাটকীয় ও শোচনীয়। একই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান।
পোপ তাঁর বার্তায় বলেন, ‘আমি সব ইসরায়েলি জনগণ এবং ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশার প্রতি আমার একাত্মতা প্রকাশ করছি। আমি যুদ্ধরত পক্ষগুলোর কাছে আবেদন করছি, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করুন, জিম্মিদের মুক্তি দিন এবং শান্তির ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষা পোষণকারী ক্ষুধার্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসুন।’