ভারতের অহংকার চূর্ণ করা কে সেই পাকিস্তানি নারী পাইলট আয়েশা ?

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাংলার কন্ঠ ঃ
পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সবচেয়ে চৌকশ নারী পাইলটের আক্রমণে দুমড়েমুচড়ে গেল শত্রুপক্ষের ২৮৮ মিলিয়ন ডলারের গর্ব রাফাল। শুধু ভারত নয়, সেদিন মাঝরাতের আকাশে চুরমার করে দিয়েছেন ফরাসি বিমানশিল্পের দাম্ভিক ইতিহাসও। আয়েশার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রেই বিশ্বে প্রথমবারের মতো ভূপাতিত হয় আকাশযুদ্ধের পশ্চিমা ‘পক্ষীরাজ’ রাফাল।
এ ঘটনা নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সামরিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা, সংবাদমাধ্যম বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস, এমনকি ফরাসি গণমাধ্যমও রাফাল ধ্বংসের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আয়েশায় সেই পাইলট- পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথম নারী যিনি সরাসরি শত্রু বিমানগুলো ভূপাতিত করেছেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনও এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
৬ মে রাতের আকাশে ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমানকে ধ্বংস করে গোটা দক্ষিণ এশিয়াকে চমকে দেন পাকিস্তানের প্রথম যুদ্ধপ্রস্তুত নারী পাইলট আয়েশা। একটি এআইএম-১২০সি এএমআরএএএম ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, নারীরাও যে কোনো ক্ষেত্রে পুরুষদের সমান দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। ভারতীয় রাফাল ভূপাতিতের ঘটনা শুধু সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি পাকিস্তানে নারীদের ক্ষমতায়নেরও এক মাইলফলক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে গত দশ বছরে ১৯ জন নারী পাইলট হয়েছেন। যাদের মধ্যে মাত্র ৫ জন ফাইটার জেট চালাতে পারেন। কিন্তু আয়েশাই একমাত্র, যিনি যুদ্ধের জন্য চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত। বর্তমানে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে ৩১৬ জন নারী কাজ করছেন। যেখানে পাঁচ বছর আগে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১০০।
মুশাফ বিমানঘাঁটিতে এক সাংবাদিককে আয়েশা বলেছেন, আমি আলাদা কিছু ভাবি না। আমরা সবাই এক। একই প্রশিক্ষণ, একই চ্যালেঞ্জ। আমাদের অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক অবস্থান এবং সন্ত্রাসবাদের হুমকির কারণে আমাদের সদাপ্রস্তুত থাকতে হয়।
আয়েশার কথায় স্পষ্ট, এই যুদ্ধের আকাশে তিনি এসেছেন, সৌন্দর্যের মোহ নয়, তাকে টেনেছে দায়িত্বের ডাক। তাই যুদ্ধবিমান নয়, যেন এক জীবন্ত অঙ্গীকারে পরিণত হয়েছেন তিনি- দেশ রক্ষার পাহারায়।

আয়েশার জন্ম পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুরে। মাত্র তিন বছর বয়সে বাবা হারান। পরিবারে তখন শুধুই লড়াই আর সীমাবদ্ধতা। কিন্তু সেই পরিবেশেই আয়েশাকে একজন সাহসী, আত্মবিশ্বাসী ও স্বাধীনচেতা নারী হিসেবে গড়ে তোলেন তার মা। আত্মীয়স্বজনের আপত্তি আর সামাজিক বাধা ডিঙিয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেন- তিনি হবেন একজন ফাইটার পাইলট।